ডায়ালাইসিস রোগীরা যেভাবে ভালো থাকবেন!
- Ajay Kumar Ojha
- Apr 25
- 2 min read
ডায়ালাইসিস রোগীরা যেভাবে ভালো থাকবেন!
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হলে তা সাধারণত সারে না। এমন ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা কিডনি ফেইলিউরের শেষতম ধাপে পৌঁছে গেলে চিকিৎসা এসে থামে তিন প্রকারে—হিমোডায়ালাইসিস, পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন। কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে চতুর্থ ধাপেই হিমোডায়ালাইসিসের জন্য রোগীকে প্রস্তুত করার দরকার হয়। এই প্রস্তুতি শারীরিক ও মানসিক দুই রকমেরই।
প্রথমেই আশু ডায়ালাইসিস সমাধা করার জন্য একটি দরকারি অস্ত্রোপচার (এভিএফ ক্রিয়েশন) বা ফিস্টুলা তৈরি করতে হয়। তার সঙ্গে হেপাটাইটিস বি, নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা চতুর্থ ধাপে দেওয়া শুরু করতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ থাকলে এর জন্য আইনভিত্তিক কিডনিদাতাকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করা জরুরি। সেই সঙ্গে রোগীকে মানসিক ভরসা দেওয়ার কাজটিও শুরু করতে হয়।
পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস পঞ্চম ধাপের আরেকটি চিকিৎসাপদ্ধতি। যাতে রোগী বাড়িতে বসেই ডায়ালাইসিসের কাজটি করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশে এর উপকরণ প্রস্তুত হয় না, ব্যয়ভার বেশি, সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ফলে বাংলাদেশের সিংহভাগ এন্ড স্টেজ কিডনি ডিজিজ বা পঞ্চম ধাপের কিডনি রোগী হিমোডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন।
হিমোডায়ালাইসিস হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কিডনির কিছু কাজ হিমোডায়ালাইসিস যন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। সপ্তাহে দু–তিন দিন নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস নেওয়ার জন্য আসতে হয়, প্রতিদিন চার ঘণ্টা হিসাবে রক্ত পরিশোধন করা হয়। পঞ্চম ধাপের ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীদের বেলায় এটি জীবনভর চলতে থাকে। তবে সাময়িক কিডনি বিকলের বেলায় বিষয়টি ভিন্ন, সাধারণত কয়েকটি ডায়ালাইসিসের পর তাদের কিডনি রোগ ভালো হয়ে যায়।
পঞ্চম ধাপের হিমোডায়ালাইসিস রোগীদের নিয়মিত নির্দেশনা মোতাবেক ডায়ালাইসিসের জন্য আসতে হয়, অনিয়মিত হলে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায়, জটিলতাও বাড়ে। এর পাশাপাশি ডায়ালাইসিস রোগী প্রতি মাসে একবার কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলা হয়। ডায়ালাইসিস শুরু হওয়ার পর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের মাত্রা ও সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে। তখন চিকিৎসকের কাছ থেকে তা জেনে নিতে হবে। ডায়ালাইসিস চলা অবস্থায় রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিম্নগামী হলে চিকিৎসককে দ্রুত অবহিত করতে হবে।


Comments